অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : টেকসই ও উন্নত সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে চালু হচ্ছে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম। প্রাথমিকভাবে যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়কে এই সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কে ক্যামেরা স্থাপন করে গাড়ির গতি পরিমাপসহ সব তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, আইটিএস চালু হলে সড়কে অপরাধ করলে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
সড়কে বিশৃঙ্খলা নতুন কিছু নয়। তবে সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম-আইটিএস চালুর পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত। দেশের প্রথম এক্সেপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া সড়কে বসছে নতুন এই প্রযুক্তি। পাইলট প্রকল্প হিসেবে ৪০ কিলোমিটার সড়কে আইটিএস বসবে। এতে সময় ও জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি দূষণ ও দুর্ঘটনামুক্ত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
প্রকল্পের আওতায় ৫০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন, আড়াইশ’ বর্গমিটার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করে তা পরিচালনায় পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হবে। প্রকল্পের খরচ ১শ’২২ কোটি টাকা। এরমধ্যে অনুদান হিসেবে ৮৩ কোটি টাকা দেবে কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা। বাকি প্রায় ৩৯ কোটি টাকা সরকারের।
প্রকল্পে থাকছে সিসি ক্যামেরা, গতি নিয়ন্ত্রক ক্যামেরা, ভ্যারিয়েবল মেসেজ সাইন, যানবাহন সনাক্ত করন ব্যবস্থা। প্রকল্প পরিচালক জানান, অত্যাধুনিক এ ব্যবস্থাপনার মাধ্যেমে গোটা সড়কেই নজরদারী থাকবে।
ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম প্রকল্প পরিচালক মো. তানভীর সিদ্দিক বলেন, “রাস্তায় কি পরিমাণ ট্রাফিক যাচ্ছে, তার জন্য ভিভিএস ব্যবহার করেছি। যাতে করে আমরা বুঝতে পারি, আসলে রাস্তায় ট্রাফিকের ফ্রাকচুয়েশন কি রকম হচ্ছে। এছাড়া ভিএমএস আছে, এর মাধ্যমে ওই রাস্তার ব্যবহারকারী যারা তাদেরকে আগাম ইনফরমেশন দেওয়া যাবে। সামনে কোথায় কি ধরনের অবস্থা রয়েছে। তাতে রোড ইউজাররা আগাম ধারণা পাবেন।”
বেপরোয়াভাবে গতিতে গাড়ী চালালে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তথ্য সার্ভার থেকে প্রিন্ট বের হয়ে আসবে। ফলে সহজেই আইনভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
প্রকল্প পরিচালক মো. তানভীর সিদ্দিক বলেন, “স্পিড লেবেল যদি কেউ ক্রস করেন এই ইনফরমেশ তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে চলে আসবে। এর একটা প্রিন্ট ডকুমেন্ট পাবো, কত স্পিডে কোন জায়গা ক্রস করেছে কোন গাড়ি। যার ফলে পরবর্তীতে ওই গাড়ির ড্রাইভার ও মালিককে ওভার স্পিডের জন্য জরিমানা করা হবে।”
সড়ক-মহাসড়কে চলছে যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক বিভিন্ন ধরণের যানবাহন, সেইসঙ্গে আছে বেপরোয়া গতি। এ বাস্তবতায় প্রকল্পটির সুফল কতটা মিলবে- প্রশ্নটি কিন্তু থেকেই যায়।
Leave a Reply